ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় স্কুল মাঠে তিন সহোদরকে কুপিয়ে আহত

ahotaনাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় সহপাঠিদের হামলায় স্কুল ছাত্র ও প্রতিবন্ধীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। আহতরা হলেন, মৌলভীপাড়া এলাকার শহর মুল্লুকের ছেলে ও এয়ার আলীখান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নেজাম উদ্দিন (১৭), তার ভাই প্রতিবন্ধি জাফর আলম (৪০) ও অপর ভাই সবুজবাজারে ব্যবসায়ী মিয়া জান সওদাগর (৪৫)। এদের মধ্যে স্কুল ছাত্র নেজাম উদ্দিন ও প্রতিবন্ধি জাফর আলমের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পেকুয়া থানা পুলিশ ও রাজাখালী ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, নেজাম উদ্দিন ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই ছাত্র এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনারদিন রাতে একই হোস্টেলে অবস্থানরত মিজান নামের সহপাঠি নেজামের কাছ থেকে একটি মাল্টিপ্লাগ নিতে যায়। এসময় নেজাম বিব্রতবোধ করলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মিজানের পক্ষ হয়ে শামীম, গোলাম নবী, ফারুক মিয়া, পারভেছ, নুরুল কাদের, জোনাইদসহ ১০/১২জনের দূবৃর্ত্তরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নেজাম উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও লোহার রড় দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে নেজামের বড় ভাই সবুজবাজারের ব্যবসায়ী ও শারিরীক প্রতিবদ্ধি জাফর আলম রিক্সাযোগে ভাইকে দেখতে যান। এসময় ওই দূবৃর্ত্তরা তাকেও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত ও লোহার রড় দিয়ে তার শরীর থেঁতলে দেয়। কিছুক্ষন পর অপর ভাই মিয়াজান ওই স্থানে যায়। উত্তেজিত লোকজন তাকেও মারধর করে আহত করে।

রাজাখালী এয়ারআলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: এতারাফ সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত অমানবিক হয়েছে। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়া হচ্ছে। উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছি।

রাজাখালী এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আহতদের দেখতে আমি হাসপাতালে গিয়েছি। যত অল্প সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা যায় এনিয়ে কথাবার্তা চলছে। ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর জানায় ঘটনার সময় স্কুলের এক শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাৎক্ষনিক বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি।

পাঠকের মতামত: